সুশীল সমাজ সাবধান: কামরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিক্ষণ ডট কম
দেশের সুশীল সমাজের সমালোচনা করে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ‘সুশীল সমাজের স্বপ্ন কোনোদিন পূরণ হবে না। নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাও স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু তিনি ধরা পড়ে গেছেন।
এমন আরো অনেকে মান্না সাহেবের মতো আছেন যারা স্বপ্ন দেখছেন, তারা সাবধান হয়ে যান। রাষ্ট্রী ক্ষমতায় আসার একমাত্র পথ নির্বাচন। সেই নির্বাচন ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত হবে। কোনো ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না।’
শুক্রবার সকালে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমীতে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলমগীর কুমকুমের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনটির আয়োজনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
কামরুল বলেন, ‘জাতিসংঘের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিক সেজে বিএনপি নেতারা প্রশ্ন করে নিজেদের পক্ষে কথা বের করার চেষ্টা করেন।’
বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনাদের দেশি-বিদেশি বন্ধুরাই বলেন এসমস্ত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছাড়ার জন্য। আর জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করার জন্য। আর বিদেশি বন্ধুরা যে যাই বলুক, সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কোনো আলোচনা বা সংলাপ নয়। অমানুষ এবং পশুদের সঙ্গে সংলাপের কোনো প্রশ্ন উঠে না।
আজ বিএনপির মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। পৃথিবীর মানুষ বুঝতে পেরেছে বর্তমান সরকার কোনো দলকে নয় বরং সন্ত্রাসী দমন করছে। আগে বিএনপিকে সন্ত্রাস ছাড়তে হবে, তারপর তাদের সঙ্গে সংলাপ।’
খালেদা জিয়ার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি সম্পর্কে কামরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়া ৬৩ দিন আদালতে হাজিরা দিতে যাননি। এতে প্রমাণ হয় আদালত বা আইনের প্রতি তার শ্রদ্ধাবোধ নেই।
তাই মামলাকে এগিয়ে নেয়ার জন্য আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। এখন আপনার একটাই পথ আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ দেখিয়ে হাজির হন। উচ্চ আদালতে আপনার জামিন নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাই নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিন নিতে হবে।’
সংগঠনের সহ-সভাপতি ড. এনামুল হকের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, কার্যকরী পরিষদের নেতা হেদায়েদ ইসলাম স্বপন, আওয়ামী লীগের উপকমিটির সহ-সম্পাদক বলরাম পোদ্ধার, এম এ করিম, সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।
প্রতিক্ষণ/এডি/রাজন